বানিজ্যিক ভাবে দেশি মুরগি পালন পদ্ধতি।


বানিজ্যিক ভাবে দেশি মুরগি পালন পদ্ধতি।


আপনি নিশ্চয়ই বানিজ্যিক ভাবে দেশি মুরগি পালন অথবা খামার করার কথা ভাবছেন। তাই যদি ভেবে থাকেন তাহলে আপনি ঠিকই ভাবছেন। কেননা অন্যান্য মুরগির তুলনাই আমাদের দেশে দেশি মুরগির চাহিদা অনেক। কিন্তু চাহিদার তুলনায় দেশি মুরগি উৎপাদন অনেক কম হওয়ায় আমাদের দেশে দেশি মুরগির মাংসের ঘাটতি রয়েছে। তাই আপনি যদি একটি বানিজ্যিক ভাবে দেশি মুরগির খামার করেন। তাহলে এক দিকে যেমন আমাদের দেশের মাংসের চাহিদা পূরণ হবে। অন্যদিকে আপনিও অর্থনৈতিক দিক থেকে সাবলম্বি হতে পারবেন।

ডিমের জন্য দেশি মুরগি পালন পদ্ধতি :

ডিমের জন্য দেশি মুরগির ঘর নির্বাচন:
সুধু দেশি মুরগী নয় সব মুরগির ক্ষত্রে ঘর তৈরির জন্য জায়গা নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার খামার পূর্ব থেকে পশ্চিম দিকে লম্বা লম্বি দিতে হবে। আপনার খামার অবশ্যই উচু যায়গায় স্থাপন করা উচিত। কেননা বর্ষার সময় যাতে বৃষ্টির পানি না জমে এবং এমন যায়গয় খামার স্থাপন করা উচিত যেখানে সূর্যের আলো ও বাতাস চলাচল করে । 

ডিমের জন্য দেশি মুরগির বাচ্চা নির্বাচন:
ডিমের জন্য দেশি মুরগি পালনের জন্য আপনাকে অবশ্যই ভালো মানের বাচ্চা সংগ্রহ করতে হবে। অর্থাৎ আপনাকে অবশ্যই পিয়োর এ গ্রেডের এক দিন বয়সের জিরো দেশি মুরগির বাচ্চা সংগ্রহ করতে হবে। এই ক্ষেত্রে অরজিনাল দেশি মুরগির বাচ্চা চেনার উপায় হলো বাচ্চাগুলো দেখতে আকারে অন্যান্য মুরগির বাচ্চার তুলনায় অনেক ছোট হবে। 

দেশি মুরগির বাচ্চা ব্রুডিং,খাবার ও ভ্যাকসিন ব্যাবস্থা:
মুরগির বাচ্চা খামারে আনার পর পরই বাচ্চার ব্রুডিং বা তাপ দিতে হয়। সেই জন্য মুরগির বাচ্চা আনার আগেই ব্রুডিংয়ে তাপমাত্রা ঠিক করে নিতে হয় এবং বাচ্চা আনার কিছুক্ষণ পরেই স্যালাইন বা গ্লুকোচ মিশ্রিত পানি দিতে হয়। তারপর সোনালী স্টাটার ফিড অর্থাৎ ছোট খাবার দিতে হয়।এভাবে গরম কালে এক সপ্তাহ এবং শীত কালে দুই সপ্তাহ ব্রুডিং করলে হয়। ডিমের জন্য দেশি মুরগির ক্ষেত্রে ভ্যাকসিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাচ্চার বয়স ৩-৫ দিন হলে রাণিক্ষেত ভ্যাকসিন, ১০-১১দিন বয়সে গাম্বোরা ভ্যাকসিন,১৫-১৬দিন বয়সে আবার গাম্বোরা ভ্যাকসিন এবং ২০-২১ দিন বয়সে রাণিক্ষেত ভ্যাকসিন দিতে হয়। ডিমের জন্য দেশি মুরগি পালনের জন্য আরো ভ্যাকসিন দিতে হয়।

মাংসের জন্য দেশি মুরগি পালন পদ্ধতি :

মাংসের জন্য দেশি মুরগি পালন :
মাংসের জন্য দেশি মুরগির পালন পদ্ধতি ও ডিমের জন্য দেশি মুরগি পালন পদ্ধতি একই। দেশি মুরগি মাংসের জন্য পালনের জন্য খাবার যেভাবে দিতে হয় তাহলো ব্রুডিং অবস্থায় ছোট সোনালী স্টাটার ফিড এবং ব্রুডিং শেষ হলে বড় বা সোনালী গ্রোয়ার ফিড দিতে হয়। আর মাংসের জন্য দেশি মুরগির জন্য তিনটি ভ্যাকসিন দিলেই হয়। ৩-৫ দিনে রাণিক্ষেত ১৫-১৬ দিনে গাম্বোরা এবং ২০-২১ দিনে রাণিক্ষেত ভ্যাকসিন দিতে হয়। দেশি মুরগি মূলত ৬০ দিনেই বাজারজাত করা যায়। ৬০ দিন বয়সে দেশি মুরগির ওজন ৫০০-৬০০ গ্রাম হয়ে থাকে। 

শেষকথা:
সবশেষে আমারা বলতে চাই । আপনারা যারা দেশি মুরগি পালন করতে চাচ্ছেন। তারা বসে না থেকে অল্প কিছু বাচ্চা দিয়ে শুরু করতে পারেন। আমাদের দেশে এমন অনেকেই আছে যারা দেশি মুরগি পালন করে সফল হয়েছে। তাই আমরা চাই আপনারাও সবাই সফল হন। তাই আপনিও বসে না থেকে শুরু করুন।

FAQ প্রশ্ন?
  • দেশি মুরগি পালন পদ্ধতি কি?
  • ১০০ দেশি মুরগি পালনের খরচ কত?
  • দেশি মুরগি পালনে লাভ ক্ষতি কেমন? 
  • মুরগি পালন পদ্ধতি কি? 
  • দেশি মুরগির খাবার তালিকা কি?